মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১২

কবরে লেখা পড়া


true story:সত্য গল্প,  



কবরে লেখা পড়া

(বই-বৈজ্ঞানিক মুহাম্মদ (দঃ)-লেখক-মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম  পৃঃ নং ৯০-৯২ থেকে সংগৃহীত)


রাসুল সাঃ বলেছেন,যে ব্যক্তি কুরআন ও হাদীসের জ্ঞানার্জনের জন্য নিজেকে নিয়োজিত করে কিছু শিখেছে আর কিছু বাকী রয়েছে,এরুপ অবস্থায় যদি তার মৃত্যু হয়,তবে সে শহীদের মর্যাদা পাবে এবং তার জন্য আল্লাহ একজন ফেরেশতা নিয়োজিত করে তাকে জ্ঞান শিক্ষা দিবেন।কিয়ামতের দিন সে পূর্ণ জ্ঞানী হয়ে উঠবে।(কোরআন।সুরা আরাফ।তর্জুমা-আলী হাসান, পৃঃ নং ৫১৮-১৯ আনুবাদ বিশ্লেষন।)


এ হাদীস টির বাস্তব প্রমান দিচ্ছেন আবু নছর নিশাপুরী।তিনি বলেন,একদা কবর খনন কালে  অন্য একটি কবরের কিছু অংশ কাটা পড়িল।তাতে দেখা গেল একজন তরুন যুবক কুরআন শরীফ হাতে করিয়া আতি মধুর সুরে তাহা পাঠ করিতেছে।সে আমাকে জিজ্ঞেস করিল,হে ভাই কিয়ামত হইউয়াছে কি?আমি বলিলাম-না,এখনো কিয়ামত হয়নাই।তখন সে বলিল,আমার কবরের খোলা অংশটুকু বন্ধ করিয়া দিন।(হাদীস সংগৃহীত বই-মরনের পরে।–মোঃ এনামুল হক নিজামী পৃঃ নং ৫১-৫৩)

হযরত তালহা ইবনে আব্দুল্লাহ রাঃ হতে বর্ণিত,
তিনি বলেছেন,আমি কোন কারণবশত এক রাতে  হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে রাঃ এর কবরের পাশে অবস্থান করিতেছিলাম।তাহার কবর হইতে এমন সুন্দর ভাবে তিলাওয়াতের সুর শুনিতে পাইলাম-যাহা আমার প্রান কে বিমোহিত করিয়াছিল।( হাদীস সংগৃহীত বই-মরনের পরে।–মোঃ এনামুল হক নিজামী পৃঃ নং ৫১-৫৩)

হযরত জাবের রাঃ হতে বর্ণিত,
রাসুল সাঃ বলেছেন, যখন মুমিন মৃত দেহ কে কবরে রাখা হয় তখন তাহার নিকট মনে হয় যেন সুর্য ডুবে যাচ্ছে।তখন সে তাহার চোখদ্বয় মুছতে মুছতে উঠে বসে এবং বলে আমাকে ছাড় আমি নামাজ পড়ব। (মেশকাত শরীফ।হাদীস নং-১৩১/১)

হযরত  ইবনে আব্বাস রাঃ হতে বর্ণিত,
রাসুল সাঃ বলেছেন, একজন সাহাবী অজ্ঞাতসারে একটি কবরের উপর তাবু স্থাপন করেছিল।কবরটি হইতে সুরা মুলক’ পড়ার আওয়াজ আসিতেছিল।তখন সে সেখান থেকে উঠে  রাসুল সা; এর কাছে গিয়ে আটা জানালেন।এটা শুনে রাসুল সাঃ বললেন সম্ভবত এই লোকটি দুনিয়াতে থাকা কালে এয় সুরার আমল করিয়াছে।তাই আল্লাহ পাক কবরেও তার মুখ হতে কুরআন পাঠ করাইতেছেন।( হাদীস সংগৃহীত বই-মরনের পরে।–মোঃ এনামুল হক নিজামী পৃঃ নং ৫১-৫৩)


উপরে বর্ণিত রাসুল সা; এর বানী ও সাহাবীদের বর্ণনা হতে দেখা যায় যে,মৃত ব্যক্তি কবরে পড়া-শুনা করে।
রাসুল সাঃ বলেছেন, পবিত্র কুরআনে এরুপ ত্রিশ টি আয়াত আছে যাহা লোকের ইওহলৌকিক ও পারলৌকিক কল্যান ও মুক্তি সাধন করে থাকে। উহা হচ্ছে সুরা মুলক।(তিরমিজী)
রাসুল সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের কার্যাবলীর বিবরন তোমাদের কবরবাসী আত্বীয়স্বজনদের সামনে পেশ করা হয়।যদি তোমরা ভাল কাজ করে থাক,তাহলে তারা খুশি হয় এবং আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করে বলে-হে আল্লাহ এটা তোমার দয়া ও অনুগ্রহ।অতএব তুমি তাদের তোমার পুর্ণ নিয়ামত দান কর এবং এ অবস্থায় তাদের মৃত্যু দাও।
আর যদি তোমাদের  খারাপ কার্যাবলীর বিবরন পেশ করা হয় ,তখন তারা বল্বে,সে আল্লাহ , তুমি তাদের কে ভাল কাজ করার এবনহ তোমার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের তাওফীক দাও। ( হাদীস সংগৃহীত বই-মৃত্যুর অন্তরালে।–মোঃ  আশেক এলাহী বুলন্দশহরী  পৃঃ নং ৯৫)

আসুন,আমরা সবাই ভাল কাজ করি।আল্লাহর পথে চলি।এটাই মুক্তির পথ।আল্লাহ আমাদের প্রচেশ্তা কবুল করুন।আমীন।

(বই-বৈজ্ঞানিক মুহাম্মদ (দঃ)-লেখক-মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম  পৃঃ নং ৯০-৯২ থেকে সংগৃহীত)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন