সোমবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১২

হিজাব এবং টিজিং



হিজাব এবং টিজিং

ঘটনাঃ
********

সানজানা ক্লাসে ঢুকলো ১টা নতুন ওয়েস্টার্ণ ড্রেস পরে
ক্লাসরুমের দরজা দিয়ে ঢুকতে না ঢুকতে মেয়েরা সবাই
...
ওকে ঘিরে ধরলো ...
কিরে কই থেকে কিনছিস এই josh dress টা !!”
দোস্ত তোরে যা মানাইছে না !!”
উফ জটিল !! আমিও কিনবো
খুব স্মার্ট লাগছে তোকে !! কিন্তু এর সাথে জিন্স
পড়লে আরো মানাতোইত্যাদি ইত্যাদি...
আর ক্লাসের ছেলেরা বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত sound
করতে লাগলো যা সাধারনত কোনো yummy food
সামনে থাকলে আমরা করি !!!


ঘটনাঃ
*********

রিদওয়ানা ক্লাসে ঢুকলো বোরখা পরে ছেলে-মেয়ে সবাই
ওর দিকে হয়ে তাকিয়ে রইলো কারণ, এতদিন
বোরখা পরতো না,আজই প্রথম পরলো !!
বসতে যাবে তখনই প্রশ্ন এল-
তোর কী হয়েছে ?”
তোর কি বিয়ে হয়ে গেছে ?’’
কার প্ররোচনায় এটা পরলি , কেন পরলি ? ’’
ইত্যাদি ইত্যাদি...
পাশাপাশি রিদওয়ানা দেখতে পেল ওর friend দের (মেয়ে)
কটাক্ষ হাসি আর ওর দিক থেকে ভেংচি কেটে মুখ
ফিরিয়ে নেয়া , শুনতে পেল comment ...
তুই তো একেবারে আফগানিস্তানের তালেবান
হয়ে গেছিস!!’’
তোকে খুবই উদ্ভট লাগছে !!’’
তোকে একেবারে কিম্ভূতকিমাকার লাগছে !!’’

পরলি তো পরলি একেবারে ১টা লম্বা আলখেল্লা পরলি...শর্ট
বোরখা পরলে কি হত ?’’ ইত্যাদি ইত্যাদি...
আর ক্লাসের ছেলেগুলো নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়ে রইলো...

******

আমাদের সমাজে এই টি ঘটনা আজকাল এতটাই সাধারন
হয়ে গেছে যে, এটা নিয়ে ভাবার কোন অবকাশ আমাদের
নেই। এই সমাজে যখন ১টা মেয়ের ওড়না বুকের উপর
থেকে নেমে হাতে চলে আসে তখন
আমরা তাকে " স্মার্টনেস" বলি ...জিন্স-
ফতুয়া না পড়লে এখন আর কোন মেয়েই " স্মার্ট " না।
লুজ কামিয পরলে তো মান-ইজ্জতই থাকে না!!!!!!

অথচ আমাদের Creator যিনি আমাদের Create করেছেন
সেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমদের কি বলছেন-
“(
হে নবী)তুমি মুমিন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের
দৃষ্টিকে নিম্নগামী রাখে এবং নিজেদের লজ্জাস্থানমূহের
হিফাযাত করে, তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন
করে না বেড়ায়...” (সূরা নূর ৩১)

রিদওয়ানা যখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার এই
order
টির উপর ঈমান এনে তা তার action expose
করলো তখন  যারা তাকে tease করলো তারা ultimately
কাকে tease করলো ???????????
যেহেতু হিজাব করাটা মুসলিমদের ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল
না , বরং এটা Creator এর যার কাছে ফিরে যেতেই হবে
আর
প্রতিটা action এর জন্য account করতেই
হবে সরাসরি তাঁর order ... সেহেতু তারা তো আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকেই tease করলো ... আল্লাহ
আমাদের মাফ করুন।

পরিশেষে ; ‘মুসলিমশব্দটার অর্থই হল সেই
ব্যক্তি যে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ কাছে সমর্পণ
বা Submit করে আজ আমরা যারা নিজেদের মুসলিম
বলে পরিচয় দেই তারা কি করে অন্য কোনো মুসলিমের
আল্লাহ প্রতি এই submission দেখলেই তাকে tease
করি ??????? এটা কি আল্লাহ
প্রতি ধৃষ্টতা দেখানো নয়????
“...
তোমরা যা করছো সে সম্পর্কে আল্লাহ মোটেই
বেখবর নন’’ (সূরা বাকারা৮৫)

Collected From
Sister
Sharmin Sultana

ইমাম আবু হানিফা ও নাস্তিকদের তর্কযুদ্ধ



ইমাম আবু হানিফা ও নাস্তিকদের তর্কযুদ্ধ


ইমাম আবু হানিফা তার নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে একবার এক নাস্তিক রাজ্যের সবাইকে এক আল্লাহর দিকে দাওয়াত দিলেন। কিন্তু তারা তো আল্লাহ আছেন সেটাই বিশ্বাস করে না,কিভাবে এক আল্লাহর ইবাদাত করবে।

ইমাম আবু হানিফা তাদের কে  এক আল্লাহর অস্তত্ব সম্পর্কে অনেক বুঝালেন,কিন্তু তারা কিছুতেই বিশ্বাস করতে চাইল না। ইমাম সাহেবও নাছোড় বান্দা। তিনিও তার চেষ্টা ছাড়লেন না। অবশেষে তারা বলল,ঠিক আছে চল,তর্কযুদ্ধের আয়োজন করি। যে পক্ষ জিতবে,অন্য পক্ষ বিজয়ী পক্ষের বিশ্বাস মেনে নিবে। যেই কথা সেই কাজ। এর কয়েকদিন পরেই তর্কযুদ্ধ অনুষ্ঠিত হবে নাস্তিকদের রাজ্যে।

উভয় পক্ষ তাদের যুক্তি গুলো সংগ্রহ করে সাজাতে লাগল। অবশেষে সে দিনটি চলে আসল। নাস্তিকদের রাজ্যে তাদের রাজা সহ সব পন্ডিতবর্গ হাজির হল। তর্কযুদ্ধ শুরুর যথাসময়ও উপস্থিত হয়ে গেল। কিন্তু অপর পক্ষের ইমাম আবু হানিফা তখনো হাজির হন নি। একটু একটু করে সময় গড়াতে লাগল,কিন্তু ইমামের আসার কোন লক্ষন দেখা যাচ্ছিল না। তখন নাস্তিকরা সবাই খুব আনন্দ ও হৈ চৈ করতে লাগল এবং মনে করল যে,ইমাম আবু হানিফার কাছে মনে হয় কোন কঠিন ও মজবুত যুক্তি নেই,তাই সম্ভবত তিনি আসেন নি। এই কথা গুলো তারা আলোচনা করতে লাগল।

এরই মধ্যে দেখা গেল শুধু ইমাম আবু হানিফা তাড়াহুড়ো  করে একাই উপস্থিত হলেন। তখন  নাস্তিকরা বলল,আপনি কেন দেরি করলেন,আমরা জিতে গেছি। ইমাম সাহেব বললেন,একটু শান্ত হও,কে জিতবে সেটা পরে আসছি,তার আগে শোন, কেন আমার দেরি হল ?  

সবাই বলল,আচ্ছা ঠিক আছে,চুপ করলাম।এবার শুনান কেন আপনার দেরি হল?
ইমাম সাহেব বললেন,তাহলে শোন,আমি যথাসময় আমার বাসা থেকে বের হলাম তোমাদের এখানে আসার জন্য।ঠিকঠাক মত সব পথ পার হলাম। বিপত্তি বাধল যখন নদীর তীরে এসে পৌছলাম তখন।নদী পার হওয়ার মত কোন নৌকা পেলাম না। কি করব বুঝতে পারছিলাম না।হঠাৎ করে দেখলাম, আমার থেকে দূরে ইয়া বড় একটা গাছ আপনা-আপনি কেটে ধপাস করে মাটিতে পড়ে গেল,কিন্তু কোন মানুষ দেখলাম না।  তারপর আপনা-আপনি গাছের ছালটি আলাদা হয়ে গেল। তারপর আপনা-আপনি গাছটি চিরে টুকরো টুকরো হয়ে বিভিন্ন তক্তায় রুপান্তরিত হল। তারপর ইয়া বড় একটা নৌকায় পরিনত হল এবং আমার সামনে আসল।এরপর আমি ঐ নৌকায় উঠে এখানে আসলাম।এটাই হল আমার দেরি হওয়ার কারণ। এ কথা বলে ইমাম সাহেব থামলেন।

এ কথা শুনে নাস্তিকরা সবাই হো হো করে হাসতে লাগল এবং বলতে লাগল,এটা কি করে সম্ভব হতে পারে যে একটা আস্ত জিবীত গাছ কোন মানুষের স্পর্শ ছাড়াই ইয়া বড় একটা নৌকায় পরিনত হল । তার আবার  হাসতে লাগল এবং বলল,
হে ইমাম সাহেব!আমাদের কাছে হেরে যাওয়ার ভয়ে আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গেল নাকি!আপনি এসব আবোল-তাবোল কি বকছেন?? আপনার কথা কি করে সম্ভব হতে পারে? আপনিই বলুন।

তখন ইমাম আবু হানিফা তাদের সবাইকে একটু চুপ করতে বললেন এবং সবার উদ্দেশ্য দাঁড়িয়ে বললেন,আমি অজ্ঞান বা পাগল হয়ে যাইনি, সম্পুর্ন সজ্ঞানে আমার আসার ঘটনাটা বলেছি। আপনারা কথা বিশ্বাস করেছেন? নাস্তিকরা সমস্বরে উত্তর দিল-না আমরা বিশ্বাস করিনি। তখন ইমাম সাহেব বললেন,কেন? উত্তরে তার বলল,মানুষের এবং যন্ত্রের স্পর্শ ছাড়া একটা নৌকা আপনা-আপনি তৈরী হতে পারে না।

তখন ইমাম সাহেব বললেন, তাহলে আপনারাই বলুন,মানুষের এবং যন্ত্রের স্পর্শ ছাড়া একটা নৌকা যদি আপনা-আপনি তৈরী হতে না পারে, তাহলে এত সম্পদে পরিপুর্ন এই মহাবিশ্ব কিভাবে কোন স্রষ্টা ছাড়া আপনা-আপনি তৈরী হতে পারে ? এবার আমার এই প্রশ্নের উত্তর দেন সবাই। 

তখন নাস্তিকরা সবাই হতবাক হয়ে গেল এবং চিন্তা করতে লাগল তাই তো! ইমাম সাহেবের কথাই তো ঠিক। তারা কোন উত্তর দিতে পারল না। ইমাম সাহেবের কথার দ্বারা তাদের ভুল ভেঙ্গে গেল।

তার সবাই আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করল এবং তার দরবারে সিজদায় লুটিয়ে পড়ল । সবাই ইমাম আবু হানিফাকে অনেক সম্মান ও ধন্যবাদ দিল এই জন্য যে,তিনি তাদের কে আল্লাহ কে চিনতে সাহায্য করেছেন। তারপর সবাই এক আল্লাহর ইবাদাত করতে লাগল। ইমাম সাহেব তাদের কে সব কিছু শিক্ষা দিয়ে নিজের রাজ্যে ফিরে আসলেন।

আসুন আমরাও ভুল না করে এক আল্লাহর এবাদাত করি,তার সাথে কাউকে শ্রীক না করি।লেখাটা নিজে পড়ুন এবং অন্যের সাথে শেয়ার করুন।