ইসলামের সত্যিকারের আদর্শ যারা নিজেদের জীবনে ধারন করে বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন সত্যিকারের মোরালিটি কাকে বলে সে রকমই ১টি ঘটনা »»»»»
এক সাহাবী নিজের একটি উট বিক্রি করার জন্য ছেলেকে বাজারে পাঠালেন। কিন্তু যাবার সময় ছেলেকে নসিহত করলেন যে, উটটি বিক্রি করার সময় উটের মধ্যে যে খুত/খারাবী আছে তা অবশ্যই ক্রেতাকে জানিয়ে দিবে। তাতে কোন ক্রেতা উট কিনলে কিনবে না হয় উটটিকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসবে।
ছেলেটিও বাজারে উটটি বিক্রি করে বাবাকে টাকা দেওয়ার পর ছেলেকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কি বিক্রির সময় ক্রেতাকে উটের ত্রুটির কথাগুলো বলেছিলে?
কিন্তু ছেলে উট বিক্রির সময় সে কথা ভুলে যাবার কথা বললো আর তাতে বাবা বললো, তাহলে ত তুমি বড় অন্যায় করে ফেলেছো। অতপর উক্ত সাহাবী তার ছেলেকে সাথে নিয়ে ক্রেতাকে খুঁজতে বের হলেন এবং খুঁজতে খুঁজতে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে গেলেন। ক্রেতাও একজন সাহাবী ছিলেন তাই তিনি মেহমাননের সম্মানার্থে গোস্ত দিয়ে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করলেন।
খাবার পর বিক্রেতা সাহাবী বললেন, ভাই, আমার ছেলে ত ভূল করে আপনার কাছে উটের ত্রুটিসমূহ প্রকাশ না করেই উটটি বিক্রি করে অনেক বেশি অন্যায় করে ফেলেছে।
তাই এখন আমি আপনার কাছে উক্ত উটটির ত্রুটি সমূহ প্রকাশ করছি, তাতে যদি আপনি এখন উক্ত উটটি নিজের কাছে রাখতে চান তা পারেন অথবা যদি আপনি আপনার টাকা ফেরত নিতে চান তাও আমি খুশি খুশি ফেরত দিবো বলে উক্ত টাকাগুলো বের করে তার হাতে দিতে চাইলেন।
কিন্তু ক্রেতা সাহাবী বললেন, তা আর দরকার নাই। কারন আমি উটের সব ত্রুটি জানার পরও তা উক্ত দামে কিনতে রাজি আছি। আর তাছাড়া উক্ত উটটি এখন আর আপনাকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ আপনারা যখন মেহমান হয়ে আমার ঘরে আসেন তখন আপনাদের মেহমানদারি করার মতো আমার ঘরে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আমি আপনার কাছ হতে ক্রয়কৃত উটটিই জবাহ করি এবং আপনাদের আপ্যায়ন করি।
সত্যি, এটাই হলো সত্যিকারের ইসলামী জীবন-ব্যবস্থা। অথচ অত্যান্ত দুঃখের বিষয় যে আজ মুসলমান দোকানদারও নিজেরদের দোকানে নোটিশ টাঙ্গিয়ে রাখেঃ বিক্রিত মাল ফেরত যোগ্য নয়। অথচ বিক্রিত মাল ফেরত নেওয়ার মধ্যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে।
আল্লাহ আমাদের এই সমস্ত সোনালী মানুষদের অনুসরণ করার তোফিক দান করুন।
s=ap�w>cn��QPace> বালু যেন টগবগিয়ে ফুটছে। উমাইয়া তাঁর ক্রীতদাসকে নির্দয়ভাবে প্রহার করল। তারপর তাঁকে সূর্যমুখী করে শুইয়ে দেয়া হল। ভারি পাথর চাপিয়ে দেয়া হলো তার বুকে। ক্রীতদাসের মুখে কোন অনুনয়-বিনয় নেই। মনে নেই কোন শঙ্কা। চোখে অশ্রু নেই, মুখে আর্তনাদ নেই। ঊর্ধ্বমুখী তাঁর প্রসন্ন মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে আল্লাহর প্রশংসা ধনি- ‘আহাদ’, ‘আহাদ’।এক সাহাবী নিজের একটি উট বিক্রি করার জন্য ছেলেকে বাজারে পাঠালেন। কিন্তু যাবার সময় ছেলেকে নসিহত করলেন যে, উটটি বিক্রি করার সময় উটের মধ্যে যে খুত/খারাবী আছে তা অবশ্যই ক্রেতাকে জানিয়ে দিবে। তাতে কোন ক্রেতা উট কিনলে কিনবে না হয় উটটিকে বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসবে।
ছেলেটিও বাজারে উটটি বিক্রি করে বাবাকে টাকা দেওয়ার পর ছেলেকে প্রশ্ন করলেন, তুমি কি বিক্রির সময় ক্রেতাকে উটের ত্রুটির কথাগুলো বলেছিলে?
কিন্তু ছেলে উট বিক্রির সময় সে কথা ভুলে যাবার কথা বললো আর তাতে বাবা বললো, তাহলে ত তুমি বড় অন্যায় করে ফেলেছো। অতপর উক্ত সাহাবী তার ছেলেকে সাথে নিয়ে ক্রেতাকে খুঁজতে বের হলেন এবং খুঁজতে খুঁজতে ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে গেলেন। ক্রেতাও একজন সাহাবী ছিলেন তাই তিনি মেহমাননের সম্মানার্থে গোস্ত দিয়ে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করলেন।
খাবার পর বিক্রেতা সাহাবী বললেন, ভাই, আমার ছেলে ত ভূল করে আপনার কাছে উটের ত্রুটিসমূহ প্রকাশ না করেই উটটি বিক্রি করে অনেক বেশি অন্যায় করে ফেলেছে।
তাই এখন আমি আপনার কাছে উক্ত উটটির ত্রুটি সমূহ প্রকাশ করছি, তাতে যদি আপনি এখন উক্ত উটটি নিজের কাছে রাখতে চান তা পারেন অথবা যদি আপনি আপনার টাকা ফেরত নিতে চান তাও আমি খুশি খুশি ফেরত দিবো বলে উক্ত টাকাগুলো বের করে তার হাতে দিতে চাইলেন।
কিন্তু ক্রেতা সাহাবী বললেন, তা আর দরকার নাই। কারন আমি উটের সব ত্রুটি জানার পরও তা উক্ত দামে কিনতে রাজি আছি। আর তাছাড়া উক্ত উটটি এখন আর আপনাকে ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ আপনারা যখন মেহমান হয়ে আমার ঘরে আসেন তখন আপনাদের মেহমানদারি করার মতো আমার ঘরে কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আমি আপনার কাছ হতে ক্রয়কৃত উটটিই জবাহ করি এবং আপনাদের আপ্যায়ন করি।
সত্যি, এটাই হলো সত্যিকারের ইসলামী জীবন-ব্যবস্থা। অথচ অত্যান্ত দুঃখের বিষয় যে আজ মুসলমান দোকানদারও নিজেরদের দোকানে নোটিশ টাঙ্গিয়ে রাখেঃ বিক্রিত মাল ফেরত যোগ্য নয়। অথচ বিক্রিত মাল ফেরত নেওয়ার মধ্যে জান্নাতের ওয়াদা করা হয়েছে।
আল্লাহ আমাদের এই সমস্ত সোনালী মানুষদের অনুসরণ করার তোফিক দান করুন।
ঐ পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন হযরত আবু বকর (রাঃ)।‘আহাদ’, ‘আহাদ’ শব্দ তাঁর কানে এলো। অনুসন্ধিৎসু হয়ে শব্দ লক্ষ্য করে তিনি মরুভুমির বুকে শায়িত ক্রীতদাসের সমীপবর্তী হলেন। উমাইয়াকে দেখে সব ব্যাপারটাই তিনি মনে মনে বুঝে নিলেন। বললেন, "উমাইয়া, আপনাকে তো ধনী ও বিবেচক লোক বলেই জানতাম। কিন্তু আজ প্রমাণ পেলাম, আমার ধারণা সঠিক নয়। দাসটি যদি এতই না পছন্দ, তাঁকে বিক্রি করে দিলেই পারেন। এমম নির্দয় আচরণ কি মানুষের কাজ?"
হযরত আবু বকরের ঔষধে কাজ হলো। উমাইয়া বললেন, "এতো বাহাদুরী দেখাবেন না। দাস আমার। এর উপর সদাচার-কদাচার করবার অধিকার আমারই। তা যদি এতই দয়া লেগে থাকেম তবে একে কিনে নিলেই পারেন?"
হযরত আবু বকর (রাঃ) এই সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন। তিনি চট করে রাজী হয়ে গেলেন। একজন শ্বেতাঙ্গ ক্রীতদাস ও দশটি স্বর্ণমুদ্রা দিয়ে কিনে নিলেন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাসকে। হযরত আবু বকর (রাঃ) ক্রীতদাসকে মরুভুমির বুক থেকে টেনে তুলে গা থেকে ধুলো ঝেড়ে দিলেন। উমাইয়া বিদ্রুপের হাসি হেসে বললেন, "কেমন বোকা তুমি বলত? এ অকর্মণ্য ভৃত্যটাকে একটি স্বর্ণ মুদ্রার বিনিময়েই বিক্রি করে দিতে চেয়েছিলাম। এখন আমার লাভ ও তোমার ক্ষতি দেখে হাসি সংবরন করতে পারছি না।"
আবু বকরও হেসে বললেন, "আমি ঠকিনি বন্ধু! এ ক্রীতদাসকে কেনার জন্য আমার সম্পত্তি দিতে হলেও আমি কুন্ঠিত হতাম না। কিন্তু একে আমি ধারণাতীত সস্তা মুল্যে ক্রয় করে নিয়ে চললাম।"
এ দাসটিই ছিলেন বিশ্ব বিশ্রুত বিলাল। ইসলামের প্রথম মুয়াযযিন হযরত বিলাল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন