কর্জ দেয়া বা নেয়াঃ রাসুলের (সাঃ) শিক্ষা কি ছিল?
আমাদের প্রয়োজনে
মাঝে মাঝে
ধার কর্জ
করে/দিয়ে
থাকি।
কর্জ একটি বোঝা। যদিও তা সাময়িক প্রয়োজন পূরন করে। কিন্তু চাপ সৃষ্টি হয় জীবনের ক্ষেত্রে।
কর্জ দেয়ার/নেয়ার পর আর ফেরত নেয়ার/দেয়ার ব্যাপারে আমাদের সমাজে কিছু কালচার গড়ে উঠেছে।
এসব কালচার আত্নঘাতি। কর্জ নিতে চাই, দিতে চাই না।
কর্জ নেই, ফেরত দেইনা। কর্জ দেই, ফেরত নিতে কঠোর হয়ে যাই, তার সমস্যা বিবেচনা করিনা।
কর্জ থেকে রাসুল সাঃ সব সময় আল্লাহর কাছ থেকে পানাহ চাইতেন। ইসলামে এ ব্যাপারে অত্যন্ত মৌলিক কিছু শিক্ষা আছে। আসুন এ ব্যাপারে রাসুল সাঃ এর কিছু শিক্ষা দেখিঃ
কর্জ একটি বোঝা। যদিও তা সাময়িক প্রয়োজন পূরন করে। কিন্তু চাপ সৃষ্টি হয় জীবনের ক্ষেত্রে।
কর্জ দেয়ার/নেয়ার পর আর ফেরত নেয়ার/দেয়ার ব্যাপারে আমাদের সমাজে কিছু কালচার গড়ে উঠেছে।
এসব কালচার আত্নঘাতি। কর্জ নিতে চাই, দিতে চাই না।
কর্জ নেই, ফেরত দেইনা। কর্জ দেই, ফেরত নিতে কঠোর হয়ে যাই, তার সমস্যা বিবেচনা করিনা।
কর্জ থেকে রাসুল সাঃ সব সময় আল্লাহর কাছ থেকে পানাহ চাইতেন। ইসলামে এ ব্যাপারে অত্যন্ত মৌলিক কিছু শিক্ষা আছে। আসুন এ ব্যাপারে রাসুল সাঃ এর কিছু শিক্ষা দেখিঃ
১।
জামানত দিয়ে
কর্জ করাঃ
হযরত আয়িশা
রাঃ বলেনঃ
রাসুল সাঃ
একবার এক
ইয়াহুদীর কাছ
থেকে কিছু
মাল বাকীতে
কিনেন এবং
তিনি তাঁর
লৌহ বর্ম
তার(ইয়াহুদীর)
কাছে জামানত
রাখেন।(বুখারী)
২।
ঋণদাতার কথায়
প্রতিবাদ না
করাঃ
আবু হুরায়রা
রাঃ হতে
বর্ণিত, তিনি
বলেনঃ এক
ব্যক্তি রাসুল
সাঃ এর
কাছে তার
ঋণ ফেরত
চাইল আর
খারাপ ব্যবহার
করা শুরু
করল।
সাহাবীরা (রাঃ)
তাকে আটকাতে
চাইলেন।
রাসুল সাঃ
বললেনঃ তাকে
ছেড়ে দাও। কারণঃ
ঋণদাতার কথা
বলার অধিকার
আছে।
(বুখারী)।
৩।
ঋণ পরিশোধে
উতসাহ দানঃ
আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণি্ তিনি বলেনঃ রাসুল সাঃ বলেছেনঃ কেউ যদি ঋণ নেয় এ নিয়তে যে সে উহা পরিশোধ করবে, আল্লাহ নিজ দায়িত্বে ঐ ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করাবেন। আবার কেঊ যদি ঋণ নেয় এ নিয়তে যে সে ঐ ঋণ নষ্ট করবে, তাহলে আল্লাহ তাকেই ধ্বংস করে ছাড়বেন। (বুখারী)
৪। ঋণ পরিশোধে সময়বৃদ্ধি ও বোঝা কমানোর ব্যাপারে ঊতসাহ দানঃ
হুজায়ফা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি রাসুল (সাঃ)কে বলতে শুনেছিঃ একদা এক ব্যক্তি মারা গেল। তাকে জিজ্ঞাসা করা হল; দুনিয়াতে তুমি কি করেছিলে? সে বললঃ আমি একজন ব্যবসায়ী ছিলাম। ধনী ঋণগ্রহীতাদের আমি সময় দিতাম যেন সে ঋণ পরিশোধ করতে পারে। আর গরীব ঋণ গ্রহীতাদের কে কিছু ঋণ মাফ করে দিতাম। পরে তাকে মাফ করে দেয়া হয়। আবু মাসউদ রাঃ বলেনঃ আমি ও একই কথা রাসুল সাঃ হতে শুনেছি। (বুখারী)
৫।
মৃত্যুর পর
দাফনের পূর্বে
ঋণ পরিশোধের
নিশ্চয়তাঃ
সালামা বিন আকাওয়া রাঃ বলেনঃ একবার আমরা রাসুল সাঃ এর নিকটে বসা ছিলাম। এমতাবস্থায় এক মৃত ব্যক্তির লাশ আনা হল।রাসুল সাঃ কে জানাজা পড়ানোর অনুরোধ করলে তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ সে কি ঋণগ্রস্ত? জবাব দেয়া হলঃ না। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তার কি কোন সম্পদ আছে? জবাবে বলা হলঃ না। তারপর তিনি জানাজা পড়ালেন।
এরপর আনা
হল আরেকটি
লাশ।লোকেরা বললঃ
হে আল্লাহর
রাসুল সাঃ!
জানাজাটি পড়ান। তিনি
জিজ্ঞাসা করলেনঃ
সে কি
ঋণগ্রস্ত? বলা
হলঃ হ্যাঁ। তিনি
জিজ্ঞাসা করলেনঃ
তার কি
সম্পদ আছে?
বলা হলঃ
তিন দিরহাম
আছে।তিনি জানাজা
পড়ালেন।
এরপর ৩য়
আরেকজনের লাশ
আনা হল। লোকেরা
বললঃ হে
আল্লাহর রাসুল
সাঃ! জানাজাটি
পড়ান।
তিনি জিজ্ঞাসা
করলেনঃ তার
কি সম্পদ
আছে? বলা
হলঃ না। তিনি
জিজ্ঞাসা করলেনঃ
সে কি
ঋণগ্রস্ত? বলা
হলঃ হ্যাঁ। তিনি
জানাজা পড়াতে
অস্বীকৃতি জানালেন
আর বললেনঃ
তোমরা তোমাদের
সাথীর জানাজা
পড়তে পার। আবু কাতাদাহ
রাঃ বললেনঃ
হে আল্লাহর
রাসুল সাঃ। আমি
তার ঋণ
শোধ করব। তারপর
রাসুল সাঃ
তার জানাজা
পড়ালেন। (বুখারী)।
দেখুন তো ইসলামের শিক্ষা কত সুন্দর!
ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার কোন শিক্ষা এখানে নেই।
ঋণ দিয়ে কঠোর হওয়া যায় কিন্তু উদার হয়ে সময় বাড়িয়ে দেয়া, ঋণের বোঝা কমিয়ে দেয়া গুণাহ মাফের উপায় হয়ে যায়।
আসুন আমরা এশিক্ষাগুলো চর্চা করি।
দেখুন তো ইসলামের শিক্ষা কত সুন্দর!
ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করার কোন শিক্ষা এখানে নেই।
ঋণ দিয়ে কঠোর হওয়া যায় কিন্তু উদার হয়ে সময় বাড়িয়ে দেয়া, ঋণের বোঝা কমিয়ে দেয়া গুণাহ মাফের উপায় হয়ে যায়।
আসুন আমরা এশিক্ষাগুলো চর্চা করি।
লিঙ্কঃ http://www.somewhereinblog.net/blog/mdarifurrahman007/29320091
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন