রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

তিনি এক স্ত্রীর বেশি গ্রহণ করতে পারবেন না ।



তিনি এক স্ত্রীর বেশি গ্রহণ করতে পারবেন না


একবার খালিফা মানসূর তার স্ত্রী হিররার মধ্যে  কিছুটা বদানুবাদ হয়ে  গেল হিররার  অভিযোগ ছিলো যে , খলিফা তার সাথে ইনসাফ করেন না হিররা এর বিচার চাইলেন
খলিফা বললেন , ঠিক আছে , আমাদের মধ্যে ফ্য়সালা করার জ়ন্য  তৃ্তীয় একজনকে  নিরবাচন কর। স্ত্রী হিররা বললেন, ইমামে যম আবূ হানিফা  () ফয়সালা  দিবেন
খলিফা মানসুর  কথায় রাযী হলেন। ইমামে যম আবূ হানিফা  () কে ডাকা হলো, তিনি আসলেন। খলিফা বললেন, হিররা আমার সাথে ঝগড়াবিবাদ করে আপনি আমাদের উভয়ের  মধ্যে  মীমাংসা  করে .
ইমামে যম আবূ হানিফা  ()বললেন, আমীরুল মুমিনীন ! মীমাংসার স্বারথে  আসল  ঘটনা খুলে বলুন  দিন
খলিফা  মানসূর  তখন বললেন, একই  সময় এক ব্যক্তির জন্য কতজন বিবাহিতা স্তী রাখা যায় ?  ইমামে যম আবূ হানিফা  (রঃ) বলেলনঃ  চার জন
খলিফা  মানসূর বললেন, দাসী কতজন ?
ইমামে যম আবূ হানিফা  (রঃ) বলেলনঃ ইচ্ছানুযায়ী  , তার সংখ্যা নিরধারিত নাই খলিফা  তখন পরদার  অন্তর আড়ালে বসে  থাকা  তার স্ত্রীকে লক্ষ করে বললেন, শুনছো তো ?
ইমামে যম আবূ হানিফা  (রঃ) তখন বললেন, তবে বহু বিবাহের অনুমোদন ইনসাফের ওপর সীমাবব্দ  যিনি ইনসাফ করতে পারবেন না  অথবা  ইনসাফ করতে সক্ষ্ম হবেন না  বলে সমুহ আশংকা বিদ্যমান , তিনি এক স্ত্রীর বেশি গ্রহণ করতে পারবেন না
যে্মন আল্লাহ ইরশাদ করেছেন,——– “যদি তোমরা ইন্সাফ করতে  পারবে না বলে  আশংকা কর, তবে একজ়ন স্ত্রীই যথেষ্ট ——(সূরা নিসার আয়াত ০৩)—
খলিফা এতে চুপ হয়ে গেলেন এবং হতবাক হয়ে  দীরঘক্ষণ ‍‌দাড়িয়ে রইলেন
ইমামে যম আবূ হানিফা   (রঃ) বাড়িতে চলে গেলেন কিছুক্ষণ পর এক রাজকরমচারী  তার খেদমতে এক হাজার দিরহামের একটি থলে  পেশ করে বললেনঃ খলিফা মানসুরের স্ত্রীর  পক্ষ থেকে আপনার জন্য হাদিয়া তিনি আপনাকে সালাম পাঠিয়েছেন এবং আপনার সত্যকথায় মুগ্ধ হয়েছেন।ইমাম যম (রঃ) দেরহাম গুলো এই বলে ফেরত দিলেন যে , “পাথিব কোন  সারথ লাভের আশায় আমি এই ফাইসালা দিয়নি বরং সত্য বিষয় তুলে ধরা আমার দায়িত্ব ছিলো। তাই শুধু আমি পালন করেছি
—-উকূদুল জুমান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন