বৃহস্পতিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

মহিলাদের কপালে টিপ এর ব্যবহার কোথায় থেকে, কিভাবে শুরু ?????



 মহিলাদের কপালে টিপ এর ব্যবহার কোথায় থেকে, কিভাবে শুরু ?????

হযরত ঈবরাহীম (আঃ) কে যখন আগুনে পুড়িয়ে মারার জন্য নমরুদ মাইলপরিমান জায়গা আগুন জ্বালালো , তখন একটা নতুন সমস্যা দেখা দিল আগুনের উত্তাপ এতই বেশি ছিল যে তার কাছে পৌছানো যাচ্ছিল না  তাই একটা চরক বানানো হল যার মাধ্যমে ইবরাহীম (আঃ) কে ছুড়ে আগুনে নিক্ষেপ করা যায় কিন্তু রহমতের ফেরেশতা রা চরকের একপাশে ভর করে থাকায় চরক ঘুরানো যাচ্ছিল না তখন শয়তান নমরুদকে কুবুদ্ধি দিল কিছু নগ্ন মেয়ে(পতিতা) এনে চরকের সামনে বসিয়ে দিতে, কারন অবস্থায় ফেরেশতারা থাকতে পারবে না তাই করা হল এবং ফেরেশতারা চলে গেল, ইবরাহীম (আঃ) কে আগুনে নিক্ষেপ করতে তারা সক্ষম হলেন  পরবর্তিতে মেয়েগুলোকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দান করা হল এবং তাদের মাথায় তীলক পরানো হল যেটা এখন আমাদের কাছে টিপ নামে পরিচিত




অতএব যারা বলে মহিলাদের সৌন্দর্য সব জায়গায় এবং এই দোহাই দিয়ে টিপ কে নিজেদের জন্য বৈধ মনে করেন, তারা যুগযুগ ধরে নিজেদের কোন পরিচয় বহন করছেন তা একবার ভেবে দেখবেন ??? পতিতার পরিচয় বোঝানোর জন্য যে টিপ ব্যবহার করা হত, তা আজ আমাদের উপমহাদেশে ফ্যাশন!! ওহে! মুসলিম নারীরা, এই সত্য কথাটা জানার পর  কি আপনি আপনাদের কপালে টিপ পড়বেন?

মানুষ ঘুমালে তার আত্মা কী করে ???



মানুষ ঘুমালে তার আত্মা কী করে ???

আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মানুষ ঘুমালে তার আত্মা আকাশে চলে যায় এবং তাকে আল্লাহর আরশের কাছে সিজদা করার নির্দেশ দেয়া হয়।
যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ঘুমায় তার আত্মা আল্লাহর আরশের কাছেই সিজদা দেয় এবং যে ব্যক্তি অপবিত্র ছিল তার আত্মা আরশ থেকে দূরে সিজদা দেয়।
(বায়হাকী, ইমাম বুখারী এ হাদীসটি তাঁর আত্-তারীখুল কাবীরগ্রন্থে বর্ণনা করেছেন)।
মহানবী (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় ঘুমায় তার মাথার কাছে একজন ফেরেশতা রাত যাপন করে এবং ঐ ব্যক্তি জাগ্রত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দোয়া করতে থাকে,
হে আল্লাহ!
তুমি তোমার এই বান্দাকে ক্ষমা করে দাও কেননা সে পবিত্র অবস্থায় রাত যাপন করছে।
(
তাবরানী ও বায়হাকী)
অতএব আসুন আমরা পবিত্র অবস্থায় ঘুমায় যাতে আমাদের আত্মা আল্লাহর আরশের কাছেই সিজদা দিতে পারে এবং ফেরেশতা আমাদের ক্ষমা চেয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে।


মানুষের নফসের/অন্তরের রূপ



মানুষের নফসের/অন্তরের  রূপ


কুরআনুল কারীমে মানুষের নফসের তিনটি রূপ উল্লেখ করা হয়েছে
১) নফসে আম্মারাঃ একটি নফসমানুষকে মন্দ কাজে প্ররোচিত করে। এটির নাম নফসে আম্মারা
২) নফসে লাউয়ামাহঃ একটি নফসভুল বা অন্যায় কাজ করলে অথবা ভুল বা অন্যায় বিষয়ে চিন্তা করলে কিংবা খারাপ নিয়ত রাখলে লজ্জিত হয় এবং সেজন্য মানুষকে তিরস্কার ও ভৎর্সনা করে। এটির নাম নফসে লাউয়ামাহ। আধুনিক পরিভাষায় একেই আমরা বিবেক বলে থাকি। [সূরা কিয়ামাহ, আয়াত ২]
৩) নফসে মুতমাইন্নাহঃ যে নফসটি সঠিক পথে চললে এবং ভুল ও অন্যায়ের পথ পরিত্যাগ করলে তৃপ্তি ও প্রশান্তি অনুভব করে তাকে বলে নফসে মুতমাইন্নাহ। [সূরা আল ফাজর, আয়াত ২৭]
নাফসুল লাউওয়ামার ব্যাপারে তাফসীরে এসেছেঃ

পৃথিবীতে এমন কোন মানুষ নেই যার মধ্যে বিবেক বলে কোন জিনিস নেই। এ বিবেকের মধ্যে অনিবার্যরূপে ভাল এবং মন্দের একটি অনুভূতি বিদ্যমান। মানুষ ভাল এবং মন্দ যাচাইয়ের যে মানদণ্ডই স্থির করে থাকুক না কেন এবং তা ভুল হোক বা নির্ভুল হোক, চরম অধঃপতিত ও বিভ্রান্ত মানুষের বিবেকও মন্দ কাজ করলে কিংবা ভাল কাজ না করলে তাকে তিরষ্কার করে। এটিই প্রমাণ করে যে, মানুষ নিছক একটি জীব নয়, বরং একটি নৈতিক সত্ত্বাও বটে। প্রকৃতিগতভাবেই তার মধ্যে ভাল এবং মন্দের উপলব্ধি বিদ্যমান। সে নিজেই ভাল এবং মন্দ কাজের জন্য নিজেকে দায়ী মনে করে। সে অন্যের সাথে যখন কোন খারাপ আচরণ করে তখন সে ব্যাপারে নিজের বিবেকের দংশনকে দমন করে আত্মতৃপ্তি লাভ করলেও অন্য কেউ যখন তার সাথে একই আচরণ করে তখন আপনা থেকেই তার বিবেক দাবী করে যে, এ ধরনের আচরণকারীর শাস্তি হওয়া উচিত। এখন কথা হলো, মানুষের নিজ সত্তার মধ্যেই যদি এ ধরনের একটি নফসে লাউয়ামাহবা তিরষ্কারকারী বিবেকের উপস্থিতি একটি অনস্বীকার্য সত্য হয়ে থাকে, তাহলে এ সত্যটিও অনস্বীকার্য যে, নফসে লাউয়ামাই মৃত্যুর পরের জীবনের এমন একটি প্রমাণ যা মানুষের আপন সত্তার মধ্যে বিদ্যমান। 

কেননা যেসব ভাল এবং মন্দ কাজের জন্য মানুষ দায়ী সেসব কাজের পুরস্কার বা শান্তি তার অবশ্যই পাওয়া উচিত। এটাই প্রকৃতির স্বাভাবিক দাবী। কিন্তু মৃত্যুর পরের জীবন ছাড়া আর কোনভাবেই তার এ দাবী পূরণ হতে পারে না।মৃত্যুর পরে মানুষের সত্তা যদি বিলীন ও নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় তাহলে তার অনেক ভাল কাজের পুরস্কার থেকে সে নিশ্চিতরূপে বঞ্চিত থেকে যাবে। আবার এমন অনেক মন্দ কাজ আছে যার ন্যায্য শাস্তি থেকে সে অবশ্যই নিষ্কৃতি পেয়ে যাবে। বিবেক-বুদ্ধি সম্পন্ন কোন মানুষই এ সত্য অস্বীকার করতে পারে না।

নাফসুল মুতমাইন্নাহর তাফসীর আলোচনাঃ

প্রশান্ত আত্মাবলে এমন মানুষকে বুঝানো হয়েছে যে, কোন প্রকার সন্দেহ সংশয় ছাড়াই পূর্ণ নিশ্চিন্ততা সহকারে ঠাণ্ডা মাথায় এক ও লা-শরীক আল্লাহকে নিজের রব এবং নবীগণ যে সত্য দ্বীন এনেছিলেন তাকে নিজের দ্বীন ও জীবন বিধান হিসেবে গণ্য করেছে। আল্লাহ ও তাঁর রসূলের কাছ থেকে যে বিশ্বাস ও বিধানই পাওয়া গেছে তাকে সে পুরোপুরি সত্য বলে মেনে নিয়েছে। আল্লাহর দ্বীন যে জিনিসটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে তাকে সে অনিচ্ছা সত্ত্বেও নয় বরং এই বিশ্বাস সহকারে বর্জন করেছে যে, সত্যিই তা খারাপ। সত্য-প্রীতির পথে যে কোন ত্যাগ স্বীকারের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে সে নির্দ্ধিধায় তা করেছে। এই পথে যেসব সংকট, সমস্যা, কষ্ট ও বিপদের মুখোমুখি হতে হয়েছে হাসি মুখে সেগুলো বরদাশত করেছে।
অন্যায় পথে চলে লোকদের দুনিয়ায় নানান ধরনের স্বার্থ, ঐশ্বর্য ও সুখ-সম্ভার লাভ করার যেসব দৃশ্য সে দেখছে তা থেকে বঞ্চিত থাকার জন্য তার নিজের মধ্যে কোন ক্ষোভ বা আক্ষেপ জাগেনি। বরং সত্য দ্বীন অনুসরণ করার ফলে সে যে এই সমস্ত আবর্জনা থেকে মুক্ত থেকেছে, এজন্য সে নিজের মধ্যে পূর্ণ নিশ্চিন্ততা অনুভব করেছে। কুরআনের অন্যত্র এই অবস্থাটিকে শারহে সদরবা হৃদয় উন্মুক্ত করে দেয়া অর্থে বর্ণনা করা হয়েছে। (আল আনআম, ১২৫)
[তাফহীম]


সোমবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

আইকাবাসীদের কাহিনী (কোরআনে বর্ণিত)



আইকাবাসীদের কাহিনী (কোরআনে বর্ণিত)

আর আইকাবাসীরা জালেম ছিল৷ (সুরা আল-হিজর, ৭৮)

আইকাবাসীরা ছিল অর্থাৎ হযরত শো' আয়েবের () সম্প্রদায়ের লোক সম্প্রদায়টির নাম ছিল বনী মাদইয়ান তাদের এলাকার কেন্দ্রীয় শহরেরও নাম ছিল মাদইয়ান এবং সমগ্র এলাকটিকেও মাদইয়ান বলা হতো আর " আইকা" ছিল তাবুকের প্রাচীন নাম শব্দটির শাব্দিক অর্থ হচ্ছে ঘন জংগল বর্তমানে একটি পাহাড়ী ঝরণার নাম আইকা এটি জাবালে নূরে উৎপন্ন হয়ে আফাল উপত্যকায় এসে পড়ছে

মাদ্য়ান আইকাবাসীরা দু'টি আলাদা জাতি অথবা একটি জাতির পৃথক নাম, ব্যাপারে মুফাসসিরগণের মধ্যে মতভেদ দেখা যায় একদল মনে করেন, তারা দুটি পৃথক জাতি এজন্য তাদের সবচেয়ে বড় যুক্তি হচ্ছে, সূরা 'রাফে হযরত শো'আইবকে মাদ্য়ানবাসীদের ভাই বলা হয়েছেঃ (والى مدين اخاهم شعيبًا) আর এখানে আইকাবাসীদের উল্লেখ করতে গিয়ে শুধুমাত্র বলা হয়েছে اِذْ قَال لهم شعيب (যখন শু'আইব তাদেরকে বললো) এখানে তাদের ভাই (اخوهم) শব্দ ব্যবহার করা হয়নি পক্ষান্তরে কোন কোন মুফাসসির উভয়কে একই জাতি গণ্য করেছেন কারণ, সূরা 'রাফ সূরা হূদে মাদ্য়ানবাসীদের যেসব রোগ গুণাবলীর কথা বলা হয়েছে এখানে আইকাবাসীদের যেসব রোগ গুণাবলীর কথা বলা হয়েছে হযরত শো'আইবের দাওয়াত উপদেশও একই এবং শেষে তাদের পরিণতির মধ্যেও কোন ফারাক নেই

গবেষণা অনুসন্ধানের মাধ্যমে জানা যায়, দু'টি উক্তি মূলতঃ সঠিক। সন্দেহাতীতভাবে মাদ্য়ানবাসী আইকাবাসীরা দু'টি আলাদা গোত্র। কিন্তু মূলত তারা একই বংশধারার দু'টি পৃথক শাখা। হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের স্ত্রী বা দাসী কাতুরার গর্ভজাত সন্তানরা আরব ইসরাঈলী ইতিহাসে বনী কাতুরা নামে পরিচিত। এদের একটি গোত্র সবচেয়ে বেশী খ্যাতি লাভ করে। মাদ্য়ান ইবনে ইব্রাহীমের বংশোদ্ভূত হবার ফলে তাদেরকে মাদ্য়ানী বা মাদ্য়ানবাসী বলা হয়। এদের বসতি উত্তর হেজায থেকে ফিলিস্তীনের দক্ষিণ পর্যন্ত এবং সেখান থেকে সিনাই বদ্বীপের শেষ কিনারা পর্যন্ত লোহিত সাগর আকাবা উপসাগরের পশ্চিম উপকূল এলাকায় বিস্তৃত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল মাদ্য়ান শহর। আবুল ফিদার মতে এটি আকাবা উপসাগরের উপকূলে আইলা (বর্তমান আকাবা) থেকে পাঁচ দিনের দুরত্বে অবস্থিত। বনী কাতুরার অন্যান্য গোত্রের মধ্যে বনী দীদান (dedanties) তুলনামূলকভাবে বেশী পরিচিত। উত্তর আরবে তাইমা, তাবুক আলা'উলার মাঝামাঝি স্থানে তারা বসতি গড়ে। তাদের কেন্দ্রীয় স্থান ছিল তাবুক। প্রাচীনকালে একে আইকা বলা হতো। (মু'জামুল বুলদান গ্রন্থে ইয়াকূত আইকা শব্দের আলোচনায় বলেছেন, এটি তাবুকের পুরাতন নাম এবং তাবুকবাসীদের মধ্যে একথা ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল যে, স্থানটিই এক সময় আইকা নামে পরিচিত ছিল।)

মাদ্য়ানবাসী আইকাবাসীদের জন্য একজন রসূল পাঠাবার কারণ সম্ভবত এছিল যে, তারা একই বংশধারার সাথে সম্পর্কিত ছিল, একই ভাষায় কথা বলতো এবং তাদের এলাকাও পরস্পরের সাথে সংযুক্ত ছিল। বরং বিচিত্র নয়; কোন কোন এলাকায় তাদের বসতি একই সংগে গড়ে উঠেছিল এবং তাদের পরস্পরের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্কও স্থাপিত হয়ে সমাজে তারা মিশ্রিত হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া বনী কাতুরার দু'শাখার লোকদের পেশাও ছিল ব্যবসা। তাদের মধ্যে একই ধরণের ব্যবসায়িক অসততা এবং ধর্মীয় চারিত্রিক দোষ পাওয়া যেত। বাইবেলের প্রথম দিকের পুস্তকগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় আলোচনা পাওয়া যায় যে, এরা বা'লে ফুগূরের পূজা করতো। বনী ইসরাঈল যখন মিসর থেকে বের হয়ে এদের এলাকায় আসে তখন তাদের মধ্যেও এরা শিরক ব্যভিচারের রোগ ছড়িয়ে দেয়। (গণনা পুস্তক ২৫:- এবং ৩১:১৬-১৭) তাছাড়া দু'টি বড় বড় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পথের ওপর এদের বসতি গড়ে উঠেছিল। এপথ দু'টি ইয়ামন থেকে সিরিয়া এবং পারস্য উপসাগর থেকে মিসরের দিকে চলে গিয়েছিল। দু'টি রাজপথের ধারে বসতি হবার কারণে এদের লুটতরাজ রাহাজানির কারবার ছিল খুবই রমরমা। অন্যসব জাতির বাণিজ্য কাফেলাকে বিপুল পরিমাণ কর না দিয়ে তারা এলাকা অতিক্রম করতে দিতো না। নিজেরা আন্তর্জাতিক পথ দখল করে রাখার ফলে পথের শান্তি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে রেখেছিল। কুরআন মজীতে তাদের অবস্থানকে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছেঃ انَّهمَا لبِامَامٍ مُّبِيْنٍ " জাতি দু'টি (লূতের জাতি আইকাবাসী) প্রকাশ্য রাজপথের ওপর বসবাস করতো।" এদের রাহাজানির কথা সূরা 'রাফে এভাবে বলা হয়েছেঃ ولا تقعدوا بكُلِّ صراطٍ تُوْعدَوْنَ "আর প্রত্যেক পথের ওপর লোকদেরকে ভয় দেখাবার জন্য বসে যেয়ো না।" সমস্ত কারণে আল্লাহ উভয় সম্প্রদায়ের জন্য একই নবী পাঠিয়েছিলেন এবং তাদেরকে একই ধরণের শিক্ষা দিয়েছিলেন।

তারা হযরত শো'আইব কে প্রত্যাখ্যান করলো৷ শেষ পর্যন্ত ছাতার দিনের আযাব তাদের ওপর এসে পড়ল এবং তা ছিল বড়ই ভয়াবহ দিনের আযাব৷ ( সুরা শুয়ারা,১৮৯)

আযাবের কোন বিস্তারিত বিবরণ কুরআন মজীদে বা কোন সহীহ হাদীসে উল্লেখিত হয়নি। শব্দের বাহ্যিক অর্থ থেকে যা বুঝা যায় তা হচ্ছে এই যে, তারা যেহেতু আসমানী আযাব চেয়েছিল তাই আল্লাহ তাদের ওপর পাঠিয়ে দিলেন একটি মেঘমালা। মেঘমালাটি আযাবের বৃষ্টি বর্ষণ করে তাদেরকে পুরোপুরি ধ্বংস করে না দেয়া পর্যন্ত ছাতার মত তাদের ওপর ছেয়ে রইলো। কুরআন থেকে একথা পরিষ্কারভাবে জানা যায় যে, মাদ্য়ানবাসীদের আযাবের ধরণ আইকাবাসীদের আযাব থেকে আলাদা ছিল। যেমন এখানে বলা হয়েছে এরা ছাতার দিনের আযাবে ধ্বংস হয়েছিল। আর তাদের ওপর আযাব এসেছিল একটি বিষ্ফোরণ ভূমিকম্পের মাধ্যমে।

তাই উভয় সম্প্রদায়কে মিলিয়ে একটি কাহিনী বানিয়ে দেবার চেষ্টা করা ঠিক নয়। কোন কোন তাফসীরকার "ছাতার দিনের আযাব"-এর কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তাদের এসব তথ্যের উৎস আমাদের জানা নেই। ইবনে জারীর হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাসের উক্তি উদ্ধৃত করেছেনঃ

"আলেমদের মধ্য থেকে যে ব্যক্তিই ছাতার দিনের আযাব কি ছিল সে সম্পর্কে তোমাকে কোন তথ্য জানাবে, তা সঠিক বলে মেনে নিয়ো না।