বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৩

কোরআন সংকলনের ইতিহাস


কোরআন সংকলনের ইতিহাস

undefined

 মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সংকলনের সংক্ষিপ্ত কিছু ইতিহাস বর্ণনা করা হবে নিচের লেখায়

রাসূল (স.) এর যুগে:

রাসূল (স.) এর জীবদ্দশায় গ্রন্থাকারে সমুদয় কুরআন সংকলিত না হলেও রাসূল (স.) প্রায় ৪২ জন সাহাবীকে কাতেবে ওহী নিযুক্ত করেন। তারা চামড়ায়, কাপড়ে, কাঠের পুকরা ইত্যাদিতে কুরআনের আয়াতগুলো লিখে রাখতেন। এছাড়া আসহাবে সুফ্ফাসহ সাহাবীগন কুরআন মুখস্ত  করার ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতেন।

আবুবকর (রা.) এর খেলাফতকালে:

হযরত আবু বকর(রা.) এর আমলে দ্বাদশ হিজরীতে ভন্ডনবী মুসাইলিমা বিন কাযযাবের বিরুদ্ধে পরিচালিত ইয়ামামার যুদ্ধে প্রায় ৭০ জন হাফেজে কুরআন শহীদ হন। হযরত উমার কুরআন সংরক্ষনে উদ্বেগ প্রকাশ করায় হযরত আবু বকর(রা.) যায়েদ বিন সাবিতকে কুরআন গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করার নির্দেশ দেন। হযরত যায়েদ বিন সাবিত উমার (রা.) এর নিকট সংরক্ষিত পান্ডুলিপি, নিজের স্মৃতি সাহাবাদের স্মৃতিশক্তি তুলনা এবং যাচাই করে আয়াতের অবিকৃতি নিশ্চিত করে মূল পান্ডুলিপি রচনা করেন।

উসমান (রা.) এর খেলাফতকালে:

মূল কুরআন আরবের কুরাইশদের ভাষায় নাযিল করা হয়েছিল। রাসূল (স.) এর ইšেকালের পর আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক ভাষায় কুরআন পাঠ শুরু হওয়ায় হযরত হুযাইফা (রা.) খলিফা উসমান (রা.) কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত কুরআনের কপিগুলো সংগ্রহন করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আর হযরত হাফ্ফা (রা.) এর কাছে রক্ষিত মূল কপি থেকে সাতটি কপি করে খেলাফতের বিভিন্ন অঞ্চল গুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ কমিটির সদস্যরা ছিলেন যায়দ বিন সাবিত, আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের, সাঈদ ইবনুল  আস , ও আব্দুর রহমান বিন হারিস (রা.)।

পরবর্তীকালে সংরক্ষণ:

উমাইয়া খেলাফতে কালে অনারবদের নিকট কুরআনকে সহজ সাধ্য করে তুলতে আবুল আসওয়াদ আদ দোয়াইলী ফারাহ প্রমুখ ব্যাকরণবিদদের সহায়তায় হাজ্জাজ বিন ইউসুফ আল কুরআনে নুকতা এবং হরকত সংযোজন করেন।

লেখাটি সংগৃহীত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন