হযরত সুলায়মানের (আঃ)বায়ূকে বশীভূত করে কাহিনী
এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এসেছে সূরা সাবায় এভাবেঃ
------------------------
"আর সুলায়মানের জন্য আমি বায়ূকে বশীভূত করে দিয়েছিলাম, সকালে তার চলা এক মাসের পথ পর্যন্ত এবং সন্ধায় তার চলা এক মাসের পথ পর্যন্ত"।
সূরা সাদ-এ বলা হয়েছেঃ
----------------------------
"কাজেই আমি তার জন্য বায়ূকে বশীভূত করে দিয়েছিলাম, যা তার হুকুমে সহজে চলাচল করতো যেদিকে সে যেতে চাইতো"।

এ থেকে জানা যায়, বাতাসকে হযরত সুলায়মানের হুকুমের এভাবে অনুগত করে দেয়া হয়েছিল যে,
তাঁর
রাজ্যের
এক
মাস
দূরত্বের
পথ
পর্যন্ত
যে
কোন
স্থানে
তিনি
সহজে
সফর
করতে
পারতেন।
যাওয়ার
সময়ও
সব
সময়
তাঁর
ইচ্ছা
অনুযায়ী
অনুকূল
বাতাস
পেতেন
আবার
ফেরার
সময়ও।
বাইবেল
ও
আধুনিক
ঐতিহাসিক
গবেষণা
ও
অনুসন্ধান
থেকে
এ
বিষয়
বস্তুর
ওপর
যে
আলোকপাত
হয়
তা
হচ্ছে
এই
যে, হযরত সুলায়মান তাঁর রাজত্বকালে নৌবাণিজ্যের ব্যাপক বিস্তার ঘটান। এদিকে ইস্য়ূন জাবের বন্দর থেকে তাঁর বাণিজ্যবহর লোহিত সাগরে ইয়ামেন এবং অন্যান্য পূর্ব ও দক্ষিণ দেশসমূহে যাতায়াত করতো এবং অন্যদিকে ভূমধ্যসাগরের বন্দরসমূহ থেকে তাঁর নৌবহর (যাকে বাইবেলে তর্শীশী নৌবহর বলা হয়েছে)পশ্চিম দেশসমূহে যেতো। ইস্য়ূন জাবেরে তাঁর সময়ের যে বিশাল চুল্লী পাওয়া গেছে তার সাথে তুলনীয় কোন চুল্লী আজ পর্যন্ত পশ্চিম এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে পাওয়া যায়নি। প্রত্মতত্ব বিশেষজ্ঞগণের মতে এখানে আদুমের আরাবাহ এলাকার খনি থেকে আশোধিত লোহা ও তামা আনা হতো এবং এই চুল্লিতে গালাবার পর সেগুলো অন্যান্য কাজ ছাড়া জাহাজ নির্মাণ কাজেও ব্যবহার করা হতো। এ থেকে কুরআন মজীদে হযরত সুলায়মান আলাইহিস সালাম সম্পর্কে সূরা সাবায় যে কথা বলা হয়েছে()আর আমি তার জন্য গলিত ধাতুর ঝরণা প্রবাহিত করে দিয়েছিলাম) তার ওপর আলোকপাত হয়। তাছাড়া এ ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট সামনে রাখলে হযরত সুলায়মানের জন্য এক মাসের পথ পর্যন্ত বায়ূ প্রবাহকে "বশীভূত" করার অর্থ অনুধাবন করা যায়। সেকালে সামুদ্রিক সফর পুরোপুরি অনুকূল বাতাসের ওপর নির্ভর করতো। মহান আল্লাহ হযরত সুলায়মানের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ করেছিলেন, যার ফলে তাঁর দুটি সামুদ্রিক বহর সব সময় তার ইচ্ছা অনুযায়ী এই অনুকুল বাতাস পেতো। তবুও যদি বাতাসের ওপর হযতর সুলায়মানকে হুকুম চালাবার কোন কতৃত্ব ক্ষমতা দেয়া হয়ে থাকে যেমন () তার হুকুমে চলতো) এর শব্দাবলীর বাহ্যিক অর্থ থেকে মনে হয়,
তাহলে
আল্লাহর
কুদরাতের
জন্য
এটা
কোন
অস্বাভাবিক
ব্যাপার
নয়।
তিনি
নিজের
রাজ্যের
মালিক।
নিজের
যেকোন
বান্দাকে
যে
কোন
ক্ষমতা
তিনি
চাইলে
দিতে
পারেন।
তিনি
কাউকে
কোন
ইখতিয়ার
ও
ক্ষমতাও
দান
করলে
আমাদের
মনকষ্টের
কোন
কারণ
নেই।
hgfhgfh
উত্তরমুছুন