শুক্রবার, ২৭ জুলাই, ২০১২

ইসলামের বিচারক ইয়ামানের বিচারক



ইসলামের  বিচারক ইয়ামানের বিচারক



মুসনাদে আহমা, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজায় সহীহ সনদে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে যে, যে সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত মু'আয ইবনে জাবালকে ইয়ামানের বিচারক করে পাঠাচ্ছিলেন তখন তিনি তাকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কিসের ভিত্তিতে ফায়সালা করবে৷ তিনি জবাব দিলেনঃ "আল্লাহর কিতাব অনুসারে" নবী ( সা) বললেনঃ যদি কোন বিষয়ে কিতাবুল্লাহর মধ্যে হুকুম না পাওয়া যায় তাহলে কোন জিনিসের সাহায্য নেবে৷ তিনি জবাব দিলেন , আল্লাহর রসূলের সুন্নাতের সাহায্য নেব তিনি বললেনঃ যদি সেখানেও কিছু না পাও৷ তিনি বললেনঃ তাহলে আমি নিজে ইজতিহাদ করবো  

একথা শুনে নবী ( সা) তার বুকের ওপর হাত রেখে বললেনঃ সে আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করছি যিনি তাঁর রসূলের প্রতিনিধিকে এমন পন্থা অবলম্বন করার তাওফীক দান করেছেন যা তার রসূলের কাছে পছন্দনীয় নিজের ইজতিহাদের চেয়ে আল্লাহর কিতাব রসূলের সুন্নাতকে অগ্রাধিকার দেয়া এবং হিদায়াত লাভের জন্য সর্বপ্রথম দুটি উৎসবের দিকে ফিরে যাওয়াই এমন একটা জিনিস যা একজন মুসলিম বিচারক এবং একজন অমুসলিম বিচারকের মধ্যকার মূল পার্থক্য তুলে ধরে  

 অনুরূপ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আল্লাহর কিতাবই যে সর্বপ্রথম উৎস এবং তারপরই যে রসূলের সুন্নাত- ব্যাপারে চূড়ান্ত ঐকমত্য প্রতিষ্ঠীত ব্যক্তির কিয়াস ইজতিহাদ তো দূরের কথা গোটা উম্মতের ইজমা ও দুটি উৎসের পরিপন্থী কিংবা তা থেকে স্বাধীন হতে পারে না
অর্থাৎ যদি তোমরা কখনো আল্লাহ তাঁর রসূলের আনুগত্য থেকে মুক্ত হয়ে স্বেচ্ছাচারী হওয়ার নীতি গ্রহণ করো কিংবা নিজের মতামত ধ্যান-ধারণাকে তাঁদের নির্দেশের চেয়ে অগ্রাধিকার দান করো তাহলে জেনে রাখো তোমাদের বুঝাপড়া হবে সেই আল্লাহর সাথে যিনি তোমাদের সব কথা শুনছেন এবং মনের অভিপ্রায় পর্যন্ত অবগত আছেন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন